নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুয়েত শাখার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ২০১৬ পালিত হয়েছে। গতকাল ২২শে ডিসেম্বর ২০১৬ইং রোজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কুয়েত সিটিস্থ গুলশান হোটেলে সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (আসন্ন কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী) শাহ্ নেওয়াজ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউল আলম শফির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল কুয়েতের সাধারণ সম্পাদক লুতফুর রহমান মুখাই আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি শেখ আকরামুজ্জামান, জাহাঙ্গীর হুসেন পাটুয়ারী, সভাপতি প্রার্থী আতাউল গনি মামুন, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফয়েজ কামাল, রফিকুল ইসলাম ভুলু প্রমুখ।
বক্তব্য রাখেন, জাহিদুল হক, জাহাঙ্গীর হুসেন,দিদারুল আলম, আবুল কালাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুম আহমেদ, আওয়ামী নেতা আব্দুল আলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী এস,এম আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ১৬ ডিসেম্বর। আমাদের গৌরবের মহান বিজয় দিবস। স্বাধীনতা যুদ্ধপর্বের অবিস্মরণীয় একটি দিন। লাখো শহীদের রক্তস্নাত বিজয়ের দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের। পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ, নিপীড়ন আর দুঃশাসনের কুহেলিকা ভেদ করে ১৯৭১ সালের এই দিনটিতে বিজয়ের প্রভাতী সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করে উঠেছিল বাংলাদেশের শিশির ভেজা মাটি।
রক্তনদী পেরিয়ে আসা আনন্দ-বেদনায় মিশ্র বিজয় দিবস। বিজয়ের গৌরবের বাঁধভাঙা আনন্দের দিন। একই সঙ্গে আজ লাখো স্বজন হারানোর শোকে ব্যথাতুর-বিহ্বল হওয়ারও দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একাত্তর সালের এ দিনে ঢাকার ওই সময়ের রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। সেদিন জাতি নির্ভয়ে গেয়ে উঠেছিল বিজয়ের অবিনাশী গান। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর এ জাতির অহঙ্কারের বিজয় দিবস।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন নেতৃবৃন্দরা। সর্ব শেষে নৈশভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।